জাতীয় শোক দিবস উদযাপনকে কেন্দ্র করে নীলফামারীর জলঢাকায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে পুলিশ কর্মকর্তাসহ তিনজন আহত হয়েছেন। আহত জলঢাকা থানার উপ-পরিদর্শক আব্দুল্লাহ আল মামুনকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
এছাড়া আহত অপর ব্যক্তিরা হলেন পুলিশ কনস্টেবল মেহেদী হাসান ও পথচারী শাহিন আহমেদ। তারা জলঢাকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ১৫ আগস্ট বৃহস্পতিবার সকালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে শ্রদ্ধা নিবেদনের উদ্দেশ্যে যাওয়ার সময় সাবেক সাংসদ গোলাম মোস্তফা ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আনসার আলী মিন্টু গ্রুপের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ও মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা হলে আহত হন এসআই মামুনসহ অন্যান্য ব্যক্তিরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে।
সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গোলাম মোস্তফা অভিযোগ করে বলেন, বঙ্গবন্ধু চত্বরে জাতির জনকের জীবনী নিয়ে আলোচনা করছিলেন দলের সাবেক উপজেলা সভাপতি আব্দুল মান্নান। এ সময় বর্তমান উপজেলা সভাপতি আনসার আলীর মিন্টুর নেতৃত্বে লাঠি সোটা নিয়ে অতর্কিত হামলা চালানো হয় আমাদের উপর। তাদের হামলায় পুলিশসহ বেশ কয়েকজন আহত হন।
তবে পাল্টা অভিযোগ করে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আনসার আলী মিন্টু বলেন, আগে থেকে নির্ধারিত দলীয় কর্মসূচির আলোকে শোক র্যালি নিয়ে যখন আমরা বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে যাই ঠিক সে মুহূর্তে সাবেক এমপি মোস্তফা, সাবেক সভাপতি আব্দুল মান্নানের নেতৃত্বে আমাদের উপর অতর্তিক হামলা চালানো হয়। তিনি বলেন, তারা জামায়াত শিবিরকে সাথে নিয়ে আমাদের উপর আক্রমণ চালায়। এ নিয়ে মামলা দায়েরের প্রস্ততি চলছে।
যোগাযোগ করা হলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রুহুল আমিন (নীলফামারী সার্কেল) বলেন, দু'পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইট পাটকেল নিক্ষেপের ফলে পুলিশসহ তিনজন আহত হয়েছেন। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমরা টিয়ার শেল নিক্ষেপ করা হয়। পরিবেশ এখন স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা রুহুল আমিন।
No comments:
Post a Comment